ذَٰلِكَ ٱلْكِتَٰبُ لَا رَيْبَ فِيهِ ۛ هُدًۭى لِّلْمُتَّقِينَ (البقرة: 2)
✅“এটাই সেই কিতাব—যাতে কোনো সন্দেহ নেই | সূরা বাকারা: আয়াত ২
এর আলোকে পথনির্দেশ”
আরবি আয়াত
ذَٰلِكَ ٱلْكِتَٰبُ لَا رَيْبَ ۛ فِيهِ ۛ هُدًۭى لِّلْمُتَّقِينَ
বাংলা অনুবাদ:
“এটাই সেই কিতাব (কুরআন), এতে কোন সন্দেহ নেই; এটা মুত্তাকীদের (আল্লাহভীরুদের) জন্য পথনির্দেশ।”
মূল শব্দের ব্যাখ্যা:
-
ذَٰلِكَ – “এটাই” (যা খুবই মর্যাদাপূর্ণ), দূরবর্তী কিছুর প্রতি ইঙ্গিত।
ٱلْكِتَٰبُ – কুরআন শরীফ; আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ গ্রন্থ।
لَا رَيْبَ فِيهِ – এতে কোনো সন্দেহ নেই, সন্দেহ করার অবকাশ নেই।
هُدًۭى – পথনির্দেশ, দিশা বা গাইড।
لِّلْمُتَّقِينَ – মুত্তাকীদের জন্য, যারা আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর আদেশ মেনে চলে।
তাফসীর (ব্যাখ্যা):
🔹 এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করছেন, এই কুরআন কোনো মানুষের বানানো নয়—বরং এটি এমন এক কিতাব, যার মধ্যে একফোঁটাও সন্দেহ নেই।
🔹 “لَا رَيْبَ فِيهِ” বলার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা কুরআনের নির্ভরযোগ্যতা ও প্রামাণিকতা ঘোষণা করছেন। এটা একমাত্র গ্রন্থ যা আল্লাহ নিজে অবতীর্ণ করেছেন এবং সময়ের পরীক্ষায় এটি অক্ষত থেকেছে।
🔹 “هُدًۭى لِّلْمُتَّقِينَ” — কুরআন সবার জন্য নাযিল হলেও প্রকৃত উপকার পাবে শুধু মুত্তাকীরা, যারা আল্লাহকে ভয় করে, সতর্ক থাকে, সৎ পথে চলে।
হাদীস থেকে ব্যাখ্যা:
✅ রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি, যে কুরআন শেখে এবং অন্যদের শেখায়।”
(সহীহ বুখারী)
এ হাদীস থেকে বোঝা যায়, কুরআন শুধু পড়ার নয়, বোঝা ও শেখার বিষয় – বিশেষত মুত্তাকীদের জন্য এটি সবচেয়ে বড় পথনির্দেশ।
ব্যবহারিক শিক্ষা (Lessons):
-
কুরআনের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখা ঈমানের অপরিহার্য অংশ।
-
কুরআন থেকে হেদায়েত পেতে হলে নিজেকে মুত্তাকীর মতো গড়ে তুলতে হবে।
-
কুরআনের শিক্ষা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করলেই সফলতা আসবে।
দো‘আ:
اللَّهُمَّ اجْعَلْنَا مِنَ ٱلْمُتَّقِينَ، وَاهْدِنَا بِهَذَا ٱلْكِتَابِ إِلَى صِرَاطِكَ ٱلْمُسْتَقِيمِ
“হে আল্লাহ! আমাদের মুত্তাকী বানাও এবং এই কিতাবের মাধ্যমে আমাদের সরল পথে চালাও।”